Skip to content
Jonotar Alo
Menu
  • Home
  • Daily News
  • Politics
  • Lifestyle
  • Tech
  • About Us
  • Write To Us
Menu

অভিমতনির্বাচনী দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব ইতিবাচক

Posted on August 13, 2025

রাজনীতি
অভিমত
নির্বাচনী দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব ইতিবাচক
লেখা:আবদুল আলীম, সদস্য, সাবেক নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১০: ৫০
ফলো করুন
আবদুল আলীম
আবদুল আলীম
আমরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)–সংক্রান্ত ছোটখাটো ও শব্দগত পরিবর্তন মিলিয়ে সম্ভবত ১১৭টি সুপারিশ দিয়েছিলাম। তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। যেমন নির্বাচন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, সশস্ত্র বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা, ইভিএম বাতিল করা; এগুলো ইসি তাদের সভায় অনুমোদন করেছে। এগুলো ইতিবাচক। বিশেষ করে নির্বাচন বাতিলে ইসির ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে আইনে সংজ্ঞাভুক্ত করা হলে এটা ব্যাপক পরিবর্তন হবে। আরপিও সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ ছিল এবং ইসি যতটুকু গ্রহণ করেছে, তাতে আমি ৮০ শতাংশ সন্তুষ্ট।

সংস্কার কমিশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা। যতটুকু জেনেছি, ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে—শুধু যে আসনে একক প্রার্থী থাকবে, সেখানে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা থাকবে। আমার মনে হচ্ছে, এটা একধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কারণ, ধরুন আমি যে আসনের ভোটার, সে আসনে পাঁচজন প্রার্থী থাকতে পারেন। আমার একজনকেও পছন্দ না, তখন আমি ‘না’ ভোট খুঁজব। এটা আমার অধিকার। এদিক থেকে ইসির সিদ্ধান্তটা আমার কাছে মনে হয় অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আমার জানামতে এ রকম ‘না’ ভোটের বিধান পৃথিবীর কোথাও নেই। যেখানে ‘না’ ভোট আছে, সেখানে সব ক্ষেত্রেই আছে।

সশস্ত্র বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার ফল খুব ইতিবাচক হবে বলে আশা করা যায়। এটা একটি বড় পরিবর্তন হবে। কারণ, সেনাবাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা বেশি। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিই ভোটারদের মধ্যে একধরনের আস্থা তৈরি করে। এখন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বাধ্যবাধকতা নেই। এখন এটা আইনের অংশ হয়ে যাবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার কাছে যেটা মনে হয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে হবে।

জোটবদ্ধ নির্বাচন করলেও দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে, এটা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছিল। কমিশন এটি গ্রহণ করেছে। ছোট দলের প্রার্থী যখন বড় দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেন, তখন বড় দলের প্রতীক ব্যবহার করেন। ভোট পাওয়ার জন্য এভাবে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করাটা অনৈতিক।

সংস্কার কমিশনের আরেকটি প্রস্তাব ছিল, কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেখানে পুনর্নির্বাচন দিতে হবে। সম্ভবত নির্বাচন কমিশন এটা গ্রহণ করেনি। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

আবদুল আলীম, সদস্য, সাবেক নির্বাচনব্যবস্থা

সংস্কার কমিশন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Posts

  • কথার ফুলঝুরি দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ: আমীর খসরু
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষমুখে কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা ব্যক্তিরা কারা
  • শিক্ষকদের অবরুদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
  • ছেলের অপেক্ষায় এখনো চোখের পানি ফেলেন বৃদ্ধ বাবা
  • নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা কমিশনের কাজ : ইসি সানাউল্লাহ

About Us

নতুন সম্ভাবনা নিয়ে পথচলা শুরু করল "জনতার আলো"। এই পত্রিকা সমাজের কথা বলবে নির্ভীকভাবে, তুলে ধরবে জনতার আওয়াজ। সত্য, সচেতনতা ও পরিবর্তনের বার্তা নিয়েই আমাদের এই প্রচেষ্টা।

  • Home
  • Daily News
  • Politics
  • Lifestyle
  • Tech
  • About Us
  • Write To Us

Connect With Us

নতুন ধারায় সংবাদ পরিবেশনের অঙ্গীকার নিয়েই আমাদের যাত্রা। জনগণের অধিকার, উন্নয়ন আর গণতন্ত্রই হবে আমাদের লেখার মূল শক্তি। "জনতার আলো" হবে আপনাদের বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি, আপনাদের কণ্ঠস্বর।

©2025 Jonotar Alo | Design: Newspaperly WordPress Theme